প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাতারে চারদিনের সরকারি সফরের শেষ দিনে আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দোহায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। —বাসস
এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দোহার সামিট ভিলেজে অনুষ্ঠিত এক ফায়ারসাইড চ্যাটে অংশ নেন অধ্যাপক ইউনূস। “প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথোপকথনে: একটি রূপান্তরিত বিশ্বে যুব নেতৃত্বকে শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মিডল ইস্ট কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স এবং জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র হানা এলশেহাবি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তিনিই।
সফরকালে কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আবদুল রহমান বিন হাসান আল-থানির সঙ্গে এক বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা যেতে পারে। তিনি বলেন, “এই অঞ্চলে কাতারের ব্যবসায়ীরা সমরাস্ত্রের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনূস কাতারের মন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ও অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ-সংক্রান্ত পরিষেবার উন্নয়ন করা হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, “বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করে উৎপাদিত পণ্য সহজেই বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।” তিনি কাতারের সরকারকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে তাদের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
এছাড়া কাতার প্রতি তিন বছর পর বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সেনাসদস্য গ্রহণ করে থাকে। অধ্যাপক ইউনূস কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই সংখ্যাটি বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
সফরের শেষ দিনে অধ্যাপক ইউনূস কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানির সঙ্গেও বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।