৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ৬ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:৪৬
৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ৬ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৪:৪৬

বাঘারপাড়ায় গরু চোরের হামলায় গুরুতর আহত দিনমজুর আজিজুর “

সাঈদ ইবনে হানিফ}= বাঘারপাড়া (যশোর) : বাঘারপাড়ায় গরুচুরি দেখে ফেলায় চোর চক্রের হামলায় আজিজুর রহমান নামের এক দিনমজুরকে রক্তাক্ত জখম ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজিজুর বহরমপুর গ্রামের হাসেম মোল্লার ছেলে। ক্ষত শরীর নিয়ে তিনি এখন বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

আজিজুর রহমান জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে নোয়াপাড়া গ্রামের রিংকু হোসেনের রাস্তায় বাঁধা ৭৫ হাজার টাকা দামের একটি এঁড়ে বাছুর চুরি করে একই গ্রামের মাহাবুর শিকদার। এ ঘটনায় রিংকু বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন । থানা পুলিশ কয়েকবার মাহাবুর শিকদারকে থানায় ডাকলেও তিনি (মাহাবুর) হাজির হননি। আমাকে সেখানে প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী হিসাবে রাখা হয়েছে। একারণে আমাকে বিভিন্নভাবে তারা ম্যানেজ করার চেষ্টা করছিলো।
গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে মাঠে কঁচুশাক তুলছিলাম। এসময় নোয়াপাড়া গ্রামের পরো শিকদারের ছেলে মাহাবুর শিকদার ও হাবিবুর শিকদার, রেজাউল শিকদারের ছেলে মিজবাউর শিকদার, মাহাতাব শিকদারের ছেলে মোস্তাইন শিকদার ও ছাইবাড়িয়া গ্রামের রজিবুল বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। মারপিটের একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে নোয়াপাড়ার আহাদ শিকদারের বাড়িতে আমাকে ফেলে রাখে। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পায়। স্থানীয়দের চেষ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়।
দোহাকুলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বোরহান উদ্দিন জানান , আজিজুর পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি বিভিন্ন ঝোঁপ-ঝাঁড় থেকে থানকুনি, পেপলসি, কঁচুশাক তুলে স্থানীয় হাটে-বাজারে বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর দিনও একই কাজে মাঠে ছিলেন আজিজুর। এসময় রাস্তায় বাঁধা রিংকুর গরু চুরি করে পালিয়ে যায় মাহাবুর। আজিুজুর এ ঘটনার পুরটাই দেখে এবং রিংকুর করা থানায় অভিযোগের একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী। গত কয়েকমাস ধরে

আজিজুরকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করতে থাকে মাহাবুরসহ তার সাংঙ্গপাংঙ্গরা। ম্যানেজ করতে না পেরে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আটকে রাখে ।
এ বিষয়ে মাহাবুরের ভাই হাবিবুর শিকদার গরু চুরির বিষয় অস্বীকার করে বলেন,‘কঁচুশাক কাটতে নিষেধ করায় আজিজুর গালিগালাজ করতে থাকে। তাই আমি তাকে কয়েকটা ঘুষি মেরেছি’। শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাঁটাছেড়ার বিষয় তিনি জানেন না বলে জানান।
বাঘারপাড়া থানায় ওসি আব্দুল আলিম সংবাদকর্মী কে জানান, ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
//
১৭/১১/২৪

Facebook
Twitter
LinkedIn