নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতি রমজানেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক দেশের সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের পূণ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতি বছর ফিতরা নির্ধারণ করে থাকে। এ বছর দেশের ফিতরার জনপ্রতি হার ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে কমিটির সভায় আরবী ১৪৪৬ হিজরি সনের ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আবদুল মালেক ‘সাদাকাতুল ফিতর’ নির্ধারণ কমিটির উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন। সাংবাদিকসহ এই সভায় অসংখ্য আলেম ওলামা পরিষদ ও আরও গণমান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের তুলনায় এবার ফিতরার মোট হার কমেছে। ১৪৪৫ হিজরীতে ফিতরা ছিল ১১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৯৭০ টাকা। দেশের প্রধান খাদ্যদ্রব্য দিয়েও ফিতরা আদায় করা যায়। নগদ টাকা না দিয়ে ফিতরার নির্ধারিত পরিমাণ টাকা দিয়ে কাউকে চাউল কিনে দিলেও ফিতরা আদায় হয়ে যাবে বলে বিভিন্ন ইসলামি পেজগুলোতে বলা উল্লেখ করা হয়েছে। চাউল ছাড়াও যে কোন খাদ্যবস্তুও হতে পারে। অনেকেই ইদানিং তেল, ডাল, সেমাই, দুধ, পনির, কিসমিস, খেজুরসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করে থাকেন।
ঈদুল ফিতরের পূর্বেই ফিতরা প্রদান করা মুসলিম সমাজের একটি অপরিহার্য বিষয়। সমাজে অসহায়, অভাবী ও দুস্থরা যেন হাসিখুশি মন নিয়ে ঈদ করতে পারে সেজন্য সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা ঈদের নামাজের আগেই প্রদান করার বিধান চালু হয়। এই ফিতরা ধনীদের ওপর গরীবের হক। সে কারণে ইসলামে বলা আছে- সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সম পরিমাণ অর্থের মালিক মাত্রই নিজের ও পরিবারের প্রতিটা সদস্যের পক্ষে এই সদকাতুল ফিতরা আদায় করবে। যা একটি ওয়াজিব ইবাদত। আরও বলা হয় ফিতরা দ্বারা মানুষের রোজার ভুলত্রুটি মাফ করা হয়।
গরীবের হক সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা ঈদের আগেই সবার দান করা উচিত।