ছরের দুঃখ-বেদনা, ভুল-ভ্রান্তি পেছনে ফেলে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণে রমনার বটমূল তথা রমনার প্রতিটি প্রান্তরসহ সমগ্র বাংলাদেশ মুখরিত হয়েছে। ছায়ানটের ৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চে একক ও সমবেত কণ্ঠে পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলা নববর্ষ বরণের আনুষ্ঠানিকতা
সোমবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ সকাল থেকে সারা দেশে আনন্দ আর উৎসবের মধ্য দিয়ে চলছে বাংলা নতুন বছর বরণের নানা আয়োজন।
বাংলা নববর্ষে প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ শোভাযাত্রা বের করে। তবে এবারের আয়োজনে বাংলা নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
বাংলা নববর্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের পহেলা বৈশাখকে অনন্য করে তুলেছে অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন চেতনা। ধর্মীয় উৎসবগুলো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পহেলা বৈশাখ সবার জন্য। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসীরাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ উৎসবে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে। এটি কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়; বরং এটি একটি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও জাতীয় সংহতির অনন্য প্রতিচ্ছবি।