করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় আগামী মাস থেকে আবারও টিকা রফতানি ও উপহার পাঠানো শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের একদিন আগে আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া এই ঘোষণা দিলেন।
আগামী মাসে, অর্থাৎ অক্টোবরের শুরু থেকেই বাংলাদেশসহ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো আবার টিকা পেতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন মানসুখ মান্দাভিয়া। বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ যেসব দেশে আবার টিকা পাঠানো হবে, তার পুরোটাই হবে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড।
গত মার্চের শুরুর দিকে ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। সেই সময় দৈনিক গড়ে চার লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন এবং প্রতিদিন চার হাজারেরও বেশি মৃত্যু দেখে দেশটি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি বিদেশে টিকা রফতানিতে স্থগিতাদেশ দেয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকার উৎপাদনকারী ভারত। বর্তমানে সেই বিপর্যয় অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে বেড়েছে টিকাদানের গতিও।
ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক ৯৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে টিকার পূর্ণ ডোজ দিতে চায় দেশটির সরকার। এখন পর্যন্ত এই জনগোষ্ঠীর ৬১ শতাংশকে মাত্র এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগের দিন সোমবার টিকার রফতানি পুনরায় শুরুর এই ঘোষণা এলো। ওয়াশিংটনে কোয়াডভুক্ত চার দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সম্মেলনে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
পুনরায় শুরু হতে যাওয়া টিকার রফতানি, যা ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ নামে পরিচিত – তাতে প্রতিবেশী প্রথম নীতি অগ্রাধিকার পাবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মান্দাভিয়া বলেন, গত এপ্রিল থেকে দেশে ভ্যাকসিনের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে এবং আগামী মাস থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডোজের চারগুণ বেশি হতে চলেছে। দেশে টিকাদানের পর শুধু উদ্বৃত্ত টিকাই রফতানি করা হবে জানিয়ে ভারতের এই মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে প্রতিবেশীরাই প্রথম।
সূত্র: এনডিটিভি।