লিগ ওয়ান ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে খেলা হয়ে গিয়েছিল কয়েকটি ম্যাচ। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না লিওনেল মেসি। ভক্তদের মধ্যে ছিল চাপা হতাশা। বার্সা থেকে পিএসজিতে আসা সময়ের এই তারকা ফুটবলারের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। প্যারিসের জার্সিতে গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। সাথে দলও পেয়েছে দারুণ জয়।
পাক দি ফ্রাঁসে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মেসির পিএসজি। শুরুতে ইদ্রিসা গেয়ির গোলে এগিয়ে যায় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে আসে মেসির কাঙ্ক্ষিত গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ব্রাগের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল পিএসজি। এবার পেল পূর্ণ তিন পয়েন্ট।
বল দখল, পাসিং ও আক্রমণে আধিপত্য করা সিটির জন্য এই ফল ভীষণ হতাশার। পুরো ম্যাচে ১৮টি শট নেয় তারা, যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে পিএসজির ছয় শটের তিনটি লক্ষ্যে। আর এর দুটিই জড়ায় জালে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় পিএসজি। আশরাফ হাকিমির পাসে এমবাপের কাটব্যাক। ফাঁকায় বলে ঠিকমতো পা লাগাতে পারলেন না নেইমার। পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়ে সহজেই জাল কাপান গেয়ি (১-০)।
২৬ মিনিটে দুবার ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি সিটি। কেভিন ডে ব্রুইনের ক্রসে রাহিম স্টার্লিংয়ের হেড ক্রসবারে বাধা পাওয়ার পর ফিরতি বলে সিলভার টোকাও লাগে ক্রসবারে!
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ করে সিটি; কিন্তু প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণে নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা।
প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে মাঝে মধ্যে পাল্টা আক্রমণে উঠছিল পিএসজি। ৭৪ মিনিটে তেমনই এক আক্রমণে নিজেকে মেলে ধরেন মেসি। এমবাপেকে পাস দিলেন তিনি প্রথমে। ফরাসি তারকা প্রথম ছোঁয়ায় ফ্লিকে ফেরত পাঠালেন। আর বল ধরেই মেসির বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক শট, বল কাপায় সিটির জাল। স্কোর ২-০।
রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পেলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এটি তার ১২১তম গোল।
বাকি সময়টা আক্রমণ করে গেলেও গোলের দেখা পায়নি ম্যানসিটি। ঘরের মাঠে দারুণ জয় পায় মেসি-নেইমাররা।
ইউরোপ সেরার গত আসরে এই সিটির বিপক্ষে দুই লেগেই হেরে বিদায় নিয়েছিল পিএসজি। সেই ক্ষতে এবার কিছুটা প্রলেপ দিল প্যারিসের দলটি।
পিএসজি দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। দিনের আরেক ম্যাচে লাইপজিগকে ২-১ গোলে হারানো ক্লাব ব্রুজ সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে সিটি তিন নম্বরে।