Search
১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১২ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি / সন্ধ্যা ৬:৫৮

অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে বাহরাইনে ফের অভিযান

বাহরাইন সরকারের বেশ কয়েকটি সংস্থা ও লেবার মার্কেট রেগুলেটরি অথরিটি (এলএমআরএ) মানামায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাজধানী মানামার ছাছায় বেশ কিছু জায়গায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এলএমআরএ জানিয়েছে, যেসব অভিবাসী সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে রাস্তায় অবৈধভাবে দোকান পরিচালনা করছিলেন তাদের আটক করা হয়েছে।

তবে কতজনকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য শ্রমবাজারে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।

লেবার মার্কেট রেগুলেটরি অথরিটির ডেপুটি সিইও অব লিগ্যাল কন্ট্রোল ড. খালেদ মোহাম্মদ বলেছেন, অভিযান চলাকালে যেসব বিদেশিকর্মী বাহরাইন সরকারের আইন লঙ্ঘন করে রাস্তায় বেচাকেনা করছে তাদের আটক করা হয়েছে। এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, যারা সরকারের নিয়ম তোয়াক্কা না করে ফুটপাতে কিংবা খোলা বাজারে দোকান বসাবে তাদের বৈধ কাজের ভিসা দেওয়া হবে না। নিয়মিত শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সুযোগও হারাতে পারেন তারা। বাহরাইন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা এভাবে ব্যবসা করলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বাহরাইনে আর ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে না। তাদের ‘ব্ল্যাক লিস্টে’ দেওয়া হবে

ড. খালেদ মোহাম্মদ বলেন, কাজের সুন্দর পরিবেশ ও সুসংগঠিত শ্রমবাজার তৈরির প্রত্যয়ে বাহরাইন সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রমবাজারের নেতিবাচক দিকগুলো সমাধান করে একটি দক্ষ, সুশীল ও নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় অভিযানগুলো পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাহরাইনের শ্রমবাজারের উন্নতি ও নেতিবাচক প্রভাব দূর করার লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যারা শ্রম আইন ভঙ্গ করবেন, তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন না করার জন্য দেশের সাধারণ নাগরিকদের আহ্বান জানান।

শ্রমবাজারের নিয়মবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ড দেখা গেছে কিংবা অবৈধ কর্মীর বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে, তিনি এলএমআরএ-এর কল সেন্টারে (১৭৫০৬০৫৫) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।

এলএমআরএ ও বাহরাইন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে এমন অভিযান প্রতি সপ্তাহেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত হয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও তাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। বাহরাইনের আইন-কানুন মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য ডেইলি ট্রিবিউন

Facebook
Twitter
LinkedIn