২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৩:৪৩
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৩:৪৩

অভিনেতা-নাট্যকার মান্নান হীরা মারা গেছেন

বাংলাদেশের পথনাটকের অন্যতম পুরোধা, নাট্যব্যক্তিত্ব মান্নান হীরা আর নেই। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কবি মোহন রায়হান বলেন, অসুস্থতা অনুভব করলে হীরাকে শান্তিনগরের বাসা থেকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আগেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মান্নান হীরা।

নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ জানান, হীরার আগে থেকে হার্টে সমস্যা ছিল। হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু এবার আর হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ হলো না। তার আগেই ও মারা গেল।

কবি মোহন রায়হান জানান, আগামীকাল (২৪ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ শিল্পকলা একাডেমিতে নেয়া হবে। সেখান থেকে তাকে নেয়া হবে সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে। জানাজা শেষে রহমতগঞ্জ কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

মান্নান হীরা পথনাটক আন্দোলনের সঙ্গে আজীবন যুক্ত ছিলেন। পথনাটক পরিষদের সভাপতি ও আরণ্যক নাট্যদলের অধিকর্তা ছিলেন। তিনি মঞ্চ ও টিভির জন্য অসংখ্য নাটক লিখেছেন। একাধারে ছিলেন নির্দেশক, নির্মাতা ও অভিনেতাও।

তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আছে- ‘লাল জমিন’, ‘ভাগের মানুষ’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘সাদা-কালো’। এছাড়াও ‘ক্ষুদিরামের দেশে’, ‘ফেরারী নিশান’, ‘আদাব’, ‘ঘুমের মানুষ’ ‘মৃগনাভি’, ‘শেকল’, ‘জননী বীরাঙ্গনা’, ‘মণিমুক্তা’, ‘একাত্তরের রাজকন্যা’, ‘মেহেরজান, ‘ফুটপাত’, ‘লাল জমিন’ প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য নাটক।

‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ মান্নান হীরা রচিত ও নির্দেশিত অন্যতম পথনাটক। ২০১৪ সালে তিনি সরকারের অনুদানে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ তৈরি করেন। এটি তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেন তিনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn