২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১:৫২
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১:৫২

অভিনেতা রাজীবের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ সোমবার (১৪ই নভেম্বর) রুপালি পর্দার দাপুটে খল অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীবের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের আজকের এই দিনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন তিনি।  

রাজীব ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে চাকরি করতেন তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে। ঢাকাই সিনেমায় নাম লিখিয়ে প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রয়াত এ অভিনেতা।

১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে আসেন রাজীব। তারকাখ্যাতি পান এরপরের বছর কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘খোকনসোনা’ সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে। এছাড়া ‘দাবি’ নামের আরেকটি সিনেমায় নায়ক ছিলেন তিনি। যতক্ষণ পর্দায় উপস্থিতি থাকতেন ততক্ষণ চরিত্রকে শাসন করতেন তিনি৷ তার দরাজ কণ্ঠের গর্জন ছিল বাঘের মতো। তার কণ্ঠে খলনায়কের বিভৎসতা যেমন প্রাণ পেত তেমনি সাদামাটা চরিত্রও দর্শকের মন জয় করতো।

রাজীব খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, ভাত দে, অনন্ত ভালোবাসা, রাজা শিকদার ও বুকের ভেতর আগুন, সাহসী মানুষ চাই, বিদ্রোহ চারিদিকে, দাঙ্গা প্রভৃতি।

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজীব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। সিনেমাগুলো হলো- হীরামতি (১৯৮৮), দাঙ্গা (১৯৯১), বিদ্রোহ চারিদিকে (২০০০), সাহসী মানুষ চাই (২০০৩)। এছাড়া অভিনয়ের বাইরে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn