আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপে আজ নিউজিল্যান্ডের কাছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার ৮৯ রানের বিশাল হারে শুরু হলো সুপার টুয়েলভ রাউন্ড। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বোলিং, ব্যাটিং কোনো বিভাগেই দাঁড়াতে পারেনি অ্যারন ফিঞ্চের দল। ২০১ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে অজিরা ১১১ রানে গুটিয়ে যায়। আজ সন্ধ্যায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান।
২০১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে কোনে ফরম্যাটেই কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। গতকাল এ নিয়ে নিউজিল্যান্ড দলনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলছিলেন, রেকর্ড নিয়ে খুব একটা পড়ি না, কিংবা এ নিয়ে ভাবিও না।
কিউই দলনায়ক আসলে বর্তমান নিয়েই ভাবছিলেন। তার দল সম্প্রতি ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজের ফাইনালে ওঠে, যেখানে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ফর্মে ফেরেন অধিকাংশ কিউই খেলোয়াড়। অন্যদিকে, সর্বশেষ তিনটি সিরিজের মধ্যে দুটিতে হেরে বিশ্বকাপ খেলতে নামে অজিরা। ফিঞ্চের দলের প্রস্তুতিতে যে দুর্বলতা ছিল তা প্রথম ম্যাচেই ফুটে উঠেছে।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন অজি দলনায়ক ফিঞ্চ। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ৫৮ বলে ৯২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে ২০০ রানের সৌধ গড়ে দেন তিনি। এ পথে দ্রুততম কিউই ব্যাটার হিসেবে টি২০তে এক হাজার রান করেন কনওয়ে। এছাড়া ফিল অ্যালেন ১৬ বলে ৪২, জেমস নিশাম ১২ বলে ২৬ ও কেন উইলিয়ামসন ২৩ বলে ২৩ রান করেন। জস হ্যাজেলউড দুই উইকেট নিলেও খরচ করেছেন ৪১ রান। এছাড়া মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সও মার খেয়েছেন কিউইদের হাতে।
বিশাল রান চেজ করতে নেমে কিউই গতি ও ঘূর্ণির সম্মিলিত আক্রমণে পর্যুদস্ত হয় অজিরা। ডেভিড ওয়ার্নারকে বোল্ড করে শুরুটা করেন অভিজ্ঞ টিম সাউদি। এরপর মিচেল মার্শ ও কামিন্সকেও ফেরান তিনি। তার সঙ্গে ট্রেন্ট বোল্ট অনবদ্য বোলিং করে দুটি উইকেট তুলে নেন। আর হাত ঘুরিয়ে স্পিনার মিচেল স্যান্টনার তুলে নেন তিন উইকেট। লোকি ফার্গুসন ও ইস সোধি শিকার করেন একটি করে উইকেট।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে দিন অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া কামিন্স করেন ২১ রান।