ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
সোমবার (৮ জুন) বিকেলে ডিবিএ’র সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিদল বিএসইসি’র চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্যসাক্ষাৎ করেন। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে ডিবিএ’র পক্ষ থেকে এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
এদিন রাতে ডিবিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে ডিবিএ’র সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের আর্থিক ও ব্যবসায়িক দুরবস্থার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ডিবিএ’র সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সরাসরি ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কেবলমাত্র কমিশন আয়ের উপর নির্ভরশীল ব্রোকারেজ হাউজগুলো পুঁজিবাজারের দীর্ঘ মন্দা পরিস্থিতির কারণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকায় বাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমে গেছে। এতে ক্রমাগত লোকসানের ফলে ব্রোকাররা তাদের অফিস পরিচালনার ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে অনেক শাখা অফিস ইত্যিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। আরো অনেক শাখা অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলো তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল রাখতে সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা প্রয়োজন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মহলে ইতোমধ্যে ডিবিএ কর্তৃক প্রদত্ত সুপারিশমালার অনুমোদন ও বাস্তবায়নে বিএসইসি’র চেয়ারম্যানের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করে ডিবিএ।
বৈঠকে ডিবিএ’র উল্লেখিত বিষয়ের ওপর ইতিবাচক ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম।
এ সময় ডিবিএ’র প্রতিনিধি দল প্রত্যেক কমিশনারের সঙ্গেও পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে পৃথক বৈঠক করেন।