২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:১৪
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:১৪

আগামী ৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস, কমবে তাপমাত্রা

ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমের পর শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এরপর থেকেই থেমে থেমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি। আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালেও রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা আগামী দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, টানা বৃষ্টি না হলেও সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে তাপমাত্রা কমে এসেছে। এটি আর দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

তিনি বলেন, ভাদ্র মাসের শেষের দিকে হলেও মৌসুমি বায়ু এখনও বাংলাদেশে সক্রিয়। তার প্রভাবেই এই বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর গুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবোর্চ্চ বৃষ্টি হয়েছে সীতাকুণ্ডে ১০৭ মিলিমিটার। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ২৪, রংপুরে ৩৪, ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে নেত্রকোনায় ২৯, সিলেটে ৫০, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে সীতাকুণ্ডের পর ফেনীতে ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে এছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালের সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। 

Facebook
Twitter
LinkedIn