২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৩২
২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:৩২

আজ থেকে ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি শুরু

দেশের সব রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বন্ধ ছিল ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি। তবে করোনা সংক্রমণ কমায় ট্রেনে স্ট্যান্ডিং (দাঁড়ানো) টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ফলে আজ থেকেই ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা হবে।

সোমবার (৭ মার্চ) এক অফিস আদেশে সংশ্লিষ্টদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন রেলওয়ের পরিচালক ট্রাফিক (কমার্শিয়াল) মো. নাহিদ হাসান খাঁন।

অফিস আদেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম (পূর্বাঞ্চল) ও রাজশাহী (পশ্চিমাঞ্চল) বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে চলাচল করা কিছু ট্রেনে আসনবিহীন টিকিট ইস্যু করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকর করতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। আজ (৮ মার্চ) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমায় স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যাত্রীদের সুবিধার্থে ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করার ঘোষণা দেয় সরকার। পরে সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমে শিথিল হলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সব আসনে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। তখন ট্রেন চালুর নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। এবার ওই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এলো।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট ৩৯৭টি ট্রেনের মধ্যে বর্তমানে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন ১০৪টি, লোকাল কমিউটার ও এক্সপ্রেস ট্রেন আছে ২৫৩টি ও মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা প্রায় ৪০টি।

দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলে টানা ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর ওই বছরের ৩১ মে থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তখন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হতো। ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সব সিটে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে বন্ধই ছিল দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন।

Facebook
Twitter
LinkedIn