রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করা হবে আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কাজের উদ্বোধন করবেন। এরপর এই কেন্দ্র পরিচালনার জন্য দক্ষতা বাড়াতে একটি ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এর।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের দ্বিতীয় ইউনিটের কন্সট্রাকশন কাজ শুরুর পর পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, তারপর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবো। ২০২৩ সালের শেষ দিকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে যাবে ২০২৪ সালে। আর দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ ২০২৫ সালে জাতীয় গ্রিডে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর এই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়ার ভোলগোদোনস্কের অটোম্যাসের কারখানায় এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। রিঅ্যাক্টরগুলোর প্রত্যেকটির ওজন ৩৪০ টন এবং এগুলোর দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ১২ মিটার ও ১৪ মিটার। রিঅ্যাক্টরগুলোকে কারখানা থেকে থেকে প্রথমে জাহাজে করে জলপথে রাশিয়ার নভোরোসিস্কে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে নিয়ে আসা হয়।
জানা যায়, রিঅ্যাক্টর উদ্বোধনের পর রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ সেখানে একটি ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন করবেন। এই ট্রেনিং সেন্টারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বাংলাদেশি কর্মীদের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেখানে।
প্রসঙ্গত, রূপপুরে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ভিভিআর-প্রযুক্তির রিয়্যাক্টরের দুটি ইউনিট তৈরি হবে। ২০২৩ সালে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা রয়েছে।