বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন বলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগৃহীত রচনা : দ্বিতীয় খণ্ড’সহ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন তিনি। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ : বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ (বই পড়ো, দেশ গড়ো : বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ)।’
বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
যেকোনো ধরনের সমালোচনা এড়াতে এ বছর বাংলা একাডেমি এককভাবে মেলার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে উল্লেখ করে অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্যসচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, ‘আগের বছরগুলোতে কিছু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মেলার আয়োজনে জড়িত ছিল, যার ফলে গত বছর কিছুটা সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল।’ মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সঙ্গীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড লটারি সিস্টেমের মাধ্যমে পুরনো এবং নতুন তালিকাভুক্ত প্রকাশনীর জন্য স্টল বরাদ্দ সম্পন্ন করা হয়েছিল।
মুজাহিদুল বলেন, বিগত বছরের মতো এবারো মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হবে। রমনা কালীমন্দিরের পাশে সাধুসঙ্গ এলাকায় ‘শিশু চত্বর’ স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতি কর্মদিবসে বইমেলা বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে।
এ দিকে ডিএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মেলার নির্বিঘœ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ডিএমপি বইমেলা মাঠের ভেতরে ও বাইরে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করবে এবং মেলার আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়াচ টাওয়ার ও ফায়ার টেন্ডার স্থাপন করা হবে। মেলার মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন নজরদারিতে থাকবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার হাবীবুর রহমান। ডিএমপি টিমগুলোকে পুরো অনুষ্ঠানস্থলে নজরদারি করার দায়িত্ব দেয়া হবে এবং পাশাপাশি কোনো ধরনের গুজব ঠেকাতে সোস্যাল মিডিয়া মনিটর করা হবে।