আজ সেই ভয়াল ৯/১১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘সন্ত্রাসী’ হামলার ২০তম বার্ষিকী। ২০০১ সালের এই দিনে ‘সন্ত্রাসীরা’ যাত্রীবাহী চারটি বিমান ছিনতাই করে একযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ও ভার্জিনিয়ার পেন্টাগনে হামলা চালায়।
এ হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার লোক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকও ছিলেন। এর প্রভাব পড়ে সারা বিশ্বের রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে। এ হামলার জন্য উগ্রবাদী গোষ্ঠী আলকায়েদাকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
নাইন-ইলেভেনের ২০ বছর পূর্ণ হলো আজ। নিহতদের স্মরণে এবারও জানানো হয়েছে শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার এ রুটিনওয়ার্ক ফি বছর অব্যাহত থাকলেও আজ অবধি জানা যায়নি এর প্রকৃত রহস্য। ফলে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি কী ছিল নাইন-ইলেভেনের মনে, আর এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আক্রমণকারীরা আমেরিকাকে কী বার্তাই বা দিতে চেয়েছিলেন। নাইন-ইলেভেনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি রোষানলের শিকার হয়েছে মুসলমানরা। তাদের প্রতি সব সময় অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছে। যদিও এর পেছনে শক্তিশালী কোনো যুক্তি এখনো উপস্থাপন করা হয়নি।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে। দুটি বিমান আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত দুটি ভবনে। দুই ঘণ্টার মধ্যে ভবন দুটি মাটিতে ধসে পড়ে।
আর তৃতীয় বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর পেন্টাগনে আঘাত হানে। এ হামলায় ভবনের পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ধসে পড়ে। চতুর্থ বিমানটির লক্ষ্য ছিল ওয়াশিংটনে হামলার। কিন্তু যাত্রীদের প্রতিরোধের সময় বিমানটি পেনসিলভানিয়ার বিধ্বস্ত হয়। নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার স্থলে নির্মিত হয়েছে ন্যাশনাল সেপ্ট. ইলেভেন মেমোরিয়াল অ্যান্ড মিউজিয়াম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি স্মরণ করা হয়। ৯/১১ হামলার প্রতিবাদেই উগ্রবাদবিরোধী যুদ্ধ শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর এর জেরে ওই বছরের অক্টোবরে আফগানিস্তানে হামলা চালানো হয়। আফগানিস্তানে এখনও মার্কিন দখলদারিত্ব চলমান রয়েছে।