২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১১:২৪
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১১:২৪

আজ ১২ জুন বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস।

সারা দেশের এক লাখ শিশুকে ঋুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফেরাতে মাঠে নেমেছে ১১২ এটি এনজিও সংগঠন। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ শিশুদের সাংঘাতিক, প্রাণঘাতিক স্রম নিরসনে অনুৎসাহিত করা। এবং ভয়াবহ কাজ সম্পর্কে সচেতন করা। সজাগ করা।
তবে এটা ঠিক যে, প্রতিটি শিশুই কিন্তু নানান ঝুঁকিময় কাজে জড়ায় শখের বশে না। অভাবে, অনটনে, হীত দারিদ্র ও সামাজিক- পারিবারিক নানানমুখী অশান্তি আর অবহেলাজনিত কারণে।
১০-১৬ বছরের ৬ মাস ব্যপী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করবে এনজিওগুলো। শিক্ষার সাথে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীও চলবে পাশাপাশি।
তবে নানান ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিরুৎসাহিত করতে প্রথমেই ভাবা হয়েছে তাদের অর্থনৈতিক বিষয়টির কথা। আয় রুজির দিকটি এখানে তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কেন তারা উপার্জন থেকে সরে আসবে? সরে আসবে বিপদজনক শিশুস্রম থেকে? এমনই কথা চলে আসে।  ILO তাই শিশুদের উপবৃত্তি প্রদান করছে বলে জানা যায়। যা চলছে স্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
সরাসরি ১১২ টি এনজিওর পরিচালনায় এ বছর জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রকল্প। কর্মসূচী নিয়ে কাজ করা আলোর পথ কল্যান সংস্থার প্রধান নির্বাহী অর্পিতা শারমিন কথা প্রসঙ্গে জানালেন; “এটা ৪র্থ পর্যায়ের প্রকল্প। প্রায় ২৮৬ কোটি টাকার বাজেট ইতিমধ্যে পাস হয়েছে।  জানুয়ারি থেকেই আমরা ঝুঁকিময় কাজ নিরসনে শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। ওরা ২ ঘন্টা লেখাপড়া করবে। প্রত্যেক শিশুকে বিকাশের মাধ্যমে সরকারিভাবে ১০০০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। এটাই উপবৃত্তি। এক টানা ১০ মাস পর্যন্ত এই হারে এই মাসিক ভাতা বরাদ্দ থাকবে। “
কর্মসূচী বাস্তবায়নকারী এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলো আশাবাদী, উপবৃত্তির পাওয়া শিশুরা সফলতার সাথে শিক্ষা অর্জন করবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। এবং নিজের জীবনের জন্য যা কিছু ভালো, সব বুঝতে শিখবে। সর্বোপরি ঝুকিপূর্ণ কাজ থেকেও এভাবে- ধীরে  ধীরে, শিশুরা সরে আসতে পারবে। 
এই কর্মসূচী কতটা সফল?  তা অনুমেয় হওয়া যাবে, আগে শুরু হওয়া প্রকল্পের কয়েকটি পর্যায় গবেষণার মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই শোনা গেছে, এই কর্মসূচীর চারটি ধাপ পেরিয়ে গেছে। এখন ৫ম পর্যায়ের কাজ এগিয়ে চলছে।
ঝুঁকিময় কাজে এক লাখ শিশুর দায়িত্ব নেয়া এই প্রকল্প আরও ৪-১০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি প্রদান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
আমরাও আশাবাদী শিশুদের ন্যয্য অনুদান উপবৃত্তির যথাযথ প্রদানের মাধ্যমে কমে আসবে – ঝুঁকিময় স্রমের হার, তথা বিপদজনক কাজে অবৈধ শিশু শ্রম।

আজ এই বিশেষ দিনটিতে স্রম-শিশুদের মত আমরাও ওদের যথাযথ অধিকারের পূর্ণ নিশ্চয়তার জন্য সরকারের আশুদৃষ্টি কামণা করছি।

মারুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি

ছবিঃ সংগৃহীত

Facebook
Twitter
LinkedIn