মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি।
বুধবার বেলা পৌনে ১১টায় আদালতে হাজির হন তিনি। আজ এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্ত হন পরীমনি।
এদিকে নায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। দুই বিচারক হচ্ছেন— দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
রিমান্ডের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ওই দুই বিচারক লিখেছেন— ‘এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল’। মঙ্গলবার তারা লিখিত ব্যাখ্যা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে হাইকোর্টের তলবে আজ হাজির হয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এরপর ৩ দফায় মোট ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট ২ দিন এবং ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।