২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:৫৫
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:৫৫

আমরা ক্লান্ত হলেও করোনা ক্লান্ত হচ্ছে না: টেড্রোস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস বলেছেন, করোনা মহামারীতে লোকজন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার দরকার বলেও মত দিয়েছেন তিনি।

করোনা মহামারী থেকে বাঁচতে বিশ্ব যখন একটি কার্যকর টিকার অপেক্ষায় আছে, তখন তার কাছে থেকে এমন মন্তব্য এসেছে।-খবর স্ট্রেইটসটাইমের

কোভিড রোগ বিস্তারের পর থেকে গত ১১ মাসে বিশ্বজুড়ে ১২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে এক-চতুর্থাংশের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইউরোপে।

যদিও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশের বাস এ মহাদেশটিতে। ইউরোপের উন্নত হাসপাতালগুলোও মৃত্যুর এ মিছিল ঠেকাতে পারছে না।

টেড্রোস বলেন, সম্ভবত আমরা করোনায় ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। কিন্তু এই ভাইরাস ক্লান্ত হচ্ছে না। ইউরোপীয় দেশগুলো লড়াই করছে, কিন্তু ভাইরাসের উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমনকি এটা বন্ধেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।

প্যারিস পিস ফোরামে গতকাল বৃহস্পতিব তিনি বলেন, জরুরিভিত্তিতে একটি টিকা দরকার। কিন্তু একটি টিকার জন্য আমরা অপেক্ষা করতে পারি না এবং সবকিছুতে একটি পদক্ষেপের ওপর নির্ভরশীল হতে পারি না।

শীতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অনেক দেশ নতুন করে লকডাউন পদ্ধতি আরোপ করেছে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিপর্যয় ঠেকাতে লকডাউনকেই পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে ইউরোপের অনেক দেশ।

গত সোমবার মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক ফাইজার ও তাদের জার্মান সহযোগী বায়ো এন টেক দাবি করেছে, তাদের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রাথমিক ফলাফলে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। টিকাটির নিরাপত্তার তথ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn