সিনেমায় নায়ক-নায়িকা কে হবেন সেটা সাধারণত নির্বাচিত হয়ে থাকে পরিচালক কর্তৃক। কে কার বিপরীতে কাজ করবেন সেটা তারা ঠিক করে থাকেন। কিন্তু নায়ক-নায়িকাদের ব্যক্তিগত কিছু পছন্দ থাকে। সেই পছন্দকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকেন পরিচালকরা। কারণ পর্দায় রসায়ন ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য পর্দার পেছনের বোঝাপড়াটা জরুরি। এর প্রভাবেই গড়ে ওঠে জুটি। একেক জন নায়ক-নায়িকার পছন্দ একেক রকম। বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম ব্যস্ত নায়িকা পূজা চেরি কোন স্বভাবের নায়ক পছন্দ করেন? মানবজমিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
পূজা জানান, তিনি ফানি স্বভাবের নায়ক পছন্দ করেন। কারণ তিনি ফান ছাড়া থাকতে পারেন না। ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’, ‘নূরজাহান’ ও ‘প্রেম আমার ২’ এর মতো সিনেমা পূজাকে দর্শকের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। এই সিনেমাগুলোতে নায়িকা যাদের বিপরীতে কাজ করেছেন তাদেরকেও তার মতো সমান বা কাছাকাছিভাবে দর্শক গ্রহণ করেছেন। পছন্দ মতো নায়ক পেয়েছেন বলেই এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন পূজা। নায়কদের ব্যাপারে পূজা বলেন, আমার নায়করা সবাই খুব দুষ্টু, ফানি। যেমন আমার প্রথম হিরো অদ্রিত। সে ফানি ছিল। তারপর সিয়াম। বাপরে বাপ। ওকে তো কমেডি হিরো বানালেই চলে। এতো কমেডি করতে পারে! সজল ভাই। সে তো আরেক জিনিস! মানে প্রত্যেকটা হিরো খুবই ফানি। সর্বশেষ পূজা নবাগত রাসেল রানার সঙ্গে ‘মাসুদ রানা’ শিরোনামের ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। লকডাউনের আগের দিন পর্যন্ত তিনি জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত এই ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সৈকত নাসির। রাসেল রানাও পূর্বের নায়কদের মতোই একই স্বভাবের। পূজা তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে কিছুক্ষণ হাসলেন। তারপর বললেন, রাসেল রানা হচ্ছে একদম শান্ত-শিষ্ট। ওর থেকে ধোঁয়া তুলসী পাতা আর কেউই হয় না। ভাজা মাছটা উল্টিয়ে খেতে পারে না এমন মনে হয়েছিল প্রথমে। বাট যখন শুটিংয়ে গেলাম বিশ্বাস করেন সিয়াম, সজল, অদ্রিত ওদের থেকে দুই ডিগ্রি উপরে রাসেল রানা। ওকে দেখলে বোঝা যায় না। আলাপের শেষ দিকে আগামীতে পূজা ফানি স্বভাবের হিরোদের সঙ্গেই সবসময় কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, পূজা অভিনীত ‘শান’, ‘জিন’ আর ‘সাইকো’ সিনেমাগুলো মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এরমধ্যে ‘শান’ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটা এখন অনেকটাই অনিশ্চিত।