শনিবার হঠাৎই বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন বলিউডের সবচেয়ে চর্চিত জুটি আমির খান ও কিরণ রাও। যা শুধু আমিরের ভক্তদের নয়, হতবাক করে দিয়েছিলো ইন্ডাস্ট্রিকেও। যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে আমির ও কিরণ জানিয়েছেন, ১৫ বছর সুখে ও আনন্দে কাটানোর পর তাদের পথ আলাদা হল। যদিও ছেলের সমস্ত দায়িত্ব দুইজন একসঙ্গে পূরণ করবেন। কর্মজীবনেও একসাথে তাদের দেখা যাবে।আমির-কিরণ প্রসঙ্গে দুইদিন পর নিজের মন্তব্য প্রকাশ করলেন কঙ্গনা রনৌত। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছিলেন, পাঞ্জাবের বহু পরিবার এক সন্তানকে হিন্দু হিসেবে, আরেক সন্তানকে শিখ হিসেবে বড় করে তোলে। এই বিষয়টা হিন্দু-মুসলিম বা শিখ-মুসলিম কিংবা অন্য কোনও ভিন্ন ধর্মের মানুষদের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বিয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। আমির খান স্যারের দ্বিতীয় ডিভোর্সের পর আমার মনে প্রশ্ন জাগলো, ভিন্নধর্মের বিয়ের ক্ষেত্রে কেনো সন্তানদের মুসলিম হতেই হয়, আর কেনই বা মহিলারা হিন্দু থাকতে পারেন না? পরিবর্তিত সময়ের দাবি মেনে আমাদের এই প্রথাও পালটানো উচিত। এক পরিবারে যদি হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, রাধাস্বামী এবং নাস্তিকরা মিলেমিশে থাকতে পারেন তাহলে মুসলমিরা কেন থাকতে পারবেন না? কেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কাউকে বিয়ে করতে গেলে ধর্ম পরিবর্তন করতে হয়?২০০৫ সালে কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির। তাদের ছেলে সন্তানের নাম আজাদ। এর আগে ১৯৮৬ সালে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। ২০০২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। আমির ও রিনার দুই ছেলে-মেয়ে। তাদের নাম জুনায়েদ ও আইরা। দুজনেই রিনার কাছে থেকে বড় হচ্ছেন।