মারুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি
এই গানটি মূলত শিল্পীকে বিখ্যাত করে তুললেও মানুষটির প্রতিটি গান মানেই ছিল প্রাণের স্পন্দন। আলু বেঁচ ছোলা বেঁচ বেঁচ মটরদানা … গানটিকে আমরা কিভাবে ভুলে থাকব? গানটির পরতে পরতে মানুষটির সৃষ্টির দ্যুতি। আর একটু শুনলে তো বুকটায় কি যে এক সেল এসে বিঁধে….

ঝিঙে বেচো পাঁচ সিকেতে, হাজার টাকায় সোনা
ঝিঙে বেচো পাঁচ সিকেতে, হাজার টাকায় সোনা
বন্ধু তোমার লাল টুকটুকে স্বপ্ন বেচো না…..
এমনই ছিল প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানের কথাগুলো। তবে আমাদের কাছে বেশি পরিচিত,, আমি বাংলার গান গাই, এই গানটি। আজন্ম এই গানের পাখি এপার বাংলার ওপার বাংলার অনেকের অনুপ্রেরণা। সবাই শিল্পীর গানে নিজেকে খুঁজে ফিরে পেতেই মানুষটির গান মনের অজান্তে গেয়ে ফিরেন।
চলে গেলেন বাংলার গানের মহান এই সুরপাখি।
বাংলা গানের একাধারে কালজয়ী শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়। আজ শনিবার সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
শেষ হলো মহান এই সুর শিল্পীর সুর সাধনা। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে খুব অসুস্থ হলে শিল্পীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই হার্ট অ্যাটাক ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। পরে শারীরিক অবস্থা আরও বেশি খারাপ হলে নেয়া হশ আইসিইউতে। প্রাণান্ত চেষ্টায় বাঁচানো য়ায়নি: আমি বাংলায় গান গাই গানের জনককে। ভক্ত ও অনুরাগীদের জন্য খবরটি খুব বেদনার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতুলের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ভক্তরা “আমি বাংলার গান গাই…” গানটিতে শিল্পীকে খুঁজতে থাকেন নিরবে নিভৃতে…
গানের মতো শিল্পী অমর হলেন। শেষবারের মতন নিজেকে আবারও একবার মহান প্রমাণ করে গেলেন এসএসকেএম হাসপাতালেই নিজের দেহ দান করে। মানুষের ভালবাসার সাথে,পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিল্পীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। অনেকেই হয়ত জানি না, সংগ্রামী মহান এই শিল্পীর জন্ম আমাদের বাংলাদেশের বরিশাল জেলায়।