ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই গোটা বিশ্বসহ উন্মাদনায় ভাসে বাংলাদেশও। বিভিন্ন দেশের জার্সি আর পতাকায় যেন ছেয়ে যায় দেশ। কাতার বিশ্বকাপেও ছিলো না কোনো কমতি। এ বিশ্বকাপ জুড়ে একটি দুর্দান্ত অভিনবত্ব এবং আকর্ষণ ছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সাথে বাংলাদেশের সমর্থকদের। বিশ্বকাপজয়ীদের প্রতিটি খেলার পরে, উদযাপন করার জন্য রাস্তায় বের হওয়া লোকজনের ভিডিও এবং চিত্রগুলো তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের দেশ থেকে ভাইরাল হয়েছিল এবং যা খবর পৌঁছেছিল সুদূর আর্জেন্টিনা।
এছাড়া তৈরি হয়েছিল একটি বিশেষ বন্ধন। এতটাই যে, এশিয়ার দেশটিতে ফুটবল ম্যাচ খেলতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও আপাতত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হলেও শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার ফুটবলে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি হলেন জামাল ভূঁইয়া। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক এবং প্রতীক, যিনি আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল ডি মায়োতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আর্জেন্টিনা দূতাবাস চালু করেছিলেন, সেদিন সোল ডি মায়ো -৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ভুইয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করেছিলেন। এবং বাংলাদেশি এই মিডফিল্ডার ফেডারেল-এ মৌসুমের মুখোমুখি হবেন তাদের জার্সিতে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে শুরু হবে তার প্রস্তুতি, যেখানে ৩২ তম ফাইনালে সোল ডি মায়োতের হয়ে লানুসের মুখোমুখি হবে ভূঁইয়া।
জমাল ভূঁইয়া তার ফুটবলের পথচলা শুরু করেছিলেন ডেনমার্কের হয়ে। কিন্তু নিজ দেশের টানে ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে এসে ফুটবল ক্যারিয়ারকে শুরু করেন। এছাড়া দেশের বাংলাদেশের একজন স্বপ্নসারথি হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই জনপ্রিয় ফুটবলার। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রতিটি ম্যাচেই তিনি নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন দেশের জন্য। শুধুমাত্র তিনি নিজেই নয় দলের প্রতিটা খেলোয়াড়কে চাঙ্গা করে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সবাইকে একত্রে তিনি পুরো মাঠ কাঁপিয়ে তুলেছেন। ফুটবলের প্রতি সাধারণ মানুষের মরিচাধরা মনটাকেও জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন এই জামাল ভূঁইয়া তার সুন্দর এবং আকর্ষণীয় খেলার মাধ্যমে।