২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:২১
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:২১

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

দুদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান। তার এই সফরে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সঙ্গে নিয়ে এ দূতাবাস উদ্বোধন করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো। বিকেল ৪টায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।

সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে একটি নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।

সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরোর সফরে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস পুনরায় খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। এছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু নিয়ে হবে আলোচনা।

জানা গেছে, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এদিকে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বাংলাদেশে আবারও দূতাবাস খুলতে চলেছে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এদিন বিকেল ৪টার দিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের উপস্থিতিতে দূতাবাস উদ্বোধন করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিরো। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিরো সোমবার ঢাকায় আসবেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

স্বাধীনতার পর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ। সেসময় ঢাকায় দেশটির দূতাবাস খোলা হয়। কিন্তু ১৯৭৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় দূতাবাসের কার্যক্রম। গত বছর নভেম্বরে পুনরায় দূতাবাস খোলার ব্যাপারে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনার প্রতি ব্যাপক সমর্থনের কারণে দেশটি বাংলাদেশে মিশন খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn