হোক সেটা অলিম্পিক ফুটবল। যেখানে খেলে থাকে অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবল দল। তারপরও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকরা পাখির চোখ করে তাকিয়ে থাকে এই টুর্নামেন্টের দিকে। চলমান টোকিও অলিম্পিক ফুটবলেও তেমন আবহ বিরাজ করছিল। কিন্তু দুই শিবিরে বর্তমানে ভিন্ন আমেজ। কারণ গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা, সেখানে দারুণ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল।
বুধবার সাইতামা স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল স্পেনের। জয় পেলে শেষ আটে যেত আর্জেন্টিনা। কিন্তু ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
তিন ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট স্পেনের। একটি করে জয় ও ড্রয়ে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট মিসরের সমান ৪; কিন্তু গোল ব্যবধানে এগিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে উঠেছে মিসর। ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছে অস্ট্রেলিয়াও।
অন্যদিকে সৌদি আরবকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে দলটির পয়েন্ট ৭। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ আইভরিকোস্ট। এই গ্রুপ থেকে বাদ পড়েছে জার্মানি ও সৌদি আরব।
শেষ আটে স্পেনের প্রতিপক্ষ ‘ডি’ গ্রুপের রানার্সআপ আইভরিকোস্ট। মিসর খেলবে এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও গতবারের সোনাজয়ী ব্রাজিলের বিপক্ষে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে অলিম্পিক মিশন শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। পরের ম্যাচে মিসরকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখে দলটি। কিন্তু মরণপণ শেষ ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি দলটি। বুধবার স্পেনের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে মেরিনোর গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। ৮৭ মিনিটে বেলমন্তোর গোলে সমতা আনে আর্জেন্টিনা।
অন্যদিকে জার্মানিকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অলিম্পিক মিশন করেছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আসেনি সেলেকাওদের। গোলশূন্য ড্র হয় আইভরিকোস্টের সাথে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ঠিকই জয় তুলে নেয় নেইমারদের উত্তরসূরীরা। ৩-১ গোলে হারিয়ে দেয় সৌদি আরবকে। আর তাতেই দাপটের সাথে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেন রিচার্লিশন। একটি গোল করেন কুনহা। সৌদি আরবের হয়ে একটি গোল করেন আল আমরি।
আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনালের চারটি ম্যাচ।