নির্ধারিত সময় ছিল রাত ১০টা ৪৫ মিনিট। ওমানে ঘূর্ণিঝড় শাহিনের কারণে লণ্ডভণ্ড মাস্কট। ফ্লাইট দুই দফায় পিছিয়ে রোববার রাত ১টা ২০ মিনিটে বিশ্বকাপ মিশনে ওমানের উদ্দেশে উড়াল দেয় মাহমুদউল্লাহ শিবির। রাতেই ওমানে গিয়ে পৌঁছায় দল।
সব ঠিকঠাক ছিল। রোববার দুপুর গড়াতে আলোচনায় ওমানের সাইক্লোন। ঘূর্ণিঝড় শাহিনে টালমাটাল গোটা ওমান। এতে শঙ্কা জাগে লাল-সবুজের যাত্রা নিয়ে। পর অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়, যাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে না।
রাত পৌণে ১১টার ফ্লাইট ধরতে রাত ৮টা নাগাদ বিমানবন্দরে হাজির হন ক্রিকেটাররা। এরপর জানা যায়, স্থগিত হচ্ছে যাত্রা। পরবর্তী যাত্রার তারিখ বা সময় পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয় বিসিবির পক্ষ থেকে। এমন সিদ্ধান্তে দুজন ক্রিকেটার বিমানবন্দর ছেড়ে বাসার পথও ধরেছিলেন। আধা ঘণ্টা না যেতেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন। জানা গেল নির্ধারিত সময়েই ওমানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে দল।
কিন্তু সে সিদ্ধান্তও টিকল না। ফ্লাইট পেছালো আড়াই ঘন্টা। রাত ১.২০ মিনিটে যাত্রা করে বাংলাদেশ দলের বহনকারী বিমানটি। বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়লেন সর্বমোট ২১ জন। ১৪ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে টিমবয় আছে তিনজন। একজন নির্বাচকের সাথে মিডিয়া ম্যানেজার ও মেডিকেল অফিসার একজন। আছেন ফিজিও জুলিয়ান ক্যালফেতো।
সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান যোগ দেবেন আইপিএল পর্ব শেষে। সস্ত্রীক আগেই ওমানে পৌঁছে গেছেন লিটন দাস।
ওমানে পৌঁছে ৪ অক্টোবর কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করবে গোটা দল। ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর দুপুর দেড়টায় ওমানে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ। এরপর ৯ অক্টোবর দল উড়াল দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে ১০ তারিখে কোয়ারেন্টাইন শেষে ১১ তারিখে অনুশীলনে নামবে টাইগাররা। পর দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্ততি ম্যাচ। ১৩ অক্টোবর আবার অনুশীলনের পর ১৪ তারিখ দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ১৫ তারিখ আবার ওমান ফিরে যাবে বাংলাদেশ দল। ১৬ অক্টোবর ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে অনুশীলন।
১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ১৯ অক্টোবর প্রথম পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ওমানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি।