আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সহায়তা করায় সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ ও এডিবির সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করেছিলেন জনগণের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্তির জন্য। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এডিবি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। বিগত ৫০ বছর ধরে এডিবি আমাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতার মাধ্যমে এডিবির সাথে আমাদের সম্পর্ক তৈরি হয়। আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এডিবির এই সহযোগিতার জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, এই সরকারের আমলে এডিবির সহযোগিতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বাংলাদেশের বাণিজ্যে ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক অভাবনীয় যাত্রার সাক্ষী হয়েছে। আমরা এই সময়ে সকল বাধা উপেক্ষা করে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি। করোনার আগে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। তবে করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য একে একে আমরা অর্জন করছি। দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মার্তৃমৃত্যুহার হ্রাস, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে পরবর্তীতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। এতে আমাদের অনেক অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। সংকট সমাধানও তেমন কোন অগ্রগতি দেখছি না। বৈশ্বিক এই সংকটময় মুহূর্তে অনেক অর্থনৈতিক সহযোগী সংস্থা সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য খুব সংকটের কারণ হচ্ছে।
সরকার প্রধান সহজ শর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে অর্থদাতা সংস্থা এবং উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আমাদের অধিকার চাই। আমরা কারো কাছে দয়া নয়, ন্যায্য হিসাব চাচ্ছি।