খ্রিষ্টীয় পঞ্জিকার নতুন বছর- ২০২৩ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু, দৈনন্দিন কাজে ব্যাপক ব্যবহারের কারণে ইংরেজি নববর্ষ সবাইকেই প্রভাবিত করে।
‘নববর্ষ সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। প্রতিবছর নববর্ষকে বরণ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হলেও করোনা মহামারির কারণে বিগত দুই বছর উৎসবের আমেজ ছিল অনেকটাই ম্লান। এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে’।
এই বাস্তবতায় সমাজের সম্পন্ন মানুষদের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বছরে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক, সব সংকট দূরীভূত হোক, সব সংকীর্ণতা পরাভূত হোক এবং সবার জীবনে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এ প্রার্থনা করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রকৃতির নিয়মেই নতুন বছর মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করে এবং নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা যোগায়।
২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা গত বছর ২৬ জুন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু চালু করেছি। ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল যোগাযোগ চালু করেছি। দেশের ৫০টি জেলায় উন্নয়নকৃত ১০০টি মহাসড়ক এবং ২৫ জেলায় ১০০টি সেতু নির্মাণ করে উদ্বোধন করেছি’।
এবছরেই ১৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র (প্রথম পর্যায়) উদ্বোধন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।