নির্বাচন কমিশনের চিঠি অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলির তালিকা আজকের (৪ ডিসেম্বর) মধ্যেই প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, আশা করি, আগামীকালই নির্বাচন কমিশনে চিঠির উত্তর দেয়া হবে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলির আদেশ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক এই সংস্থা ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদকাল এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে পাঠানো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অতি জরুরি এক চিঠিতে সব থানার ওসিকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। ইসির উপসচিব মিজানুর রহমানের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে দেশের সব থানার ওসিদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তাই যেসব থানায় ওসিদের ছয় মাসের বেশি চাকরির সময় পার হয়েছে, তাদের অন্যত্র বদলির প্রস্তাব পাঁচ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো প্রয়োজন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি অবগতির জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। পরে ১ ডিসেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। এ কার্যক্রম শেষ হবে আজ। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। পরে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। সবশেষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।