ইউরোপের কিছু অঞ্চলে ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, মহাদেশটির সমগ্র অঞ্চলজুড়েই এর প্রভাব অব্যাহত থাকবে। হাসপাতালগুলোতে এখনও চাপ বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। তবে, ব্রিটেন, স্পেন ও ডেনমার্কে কমছে সংক্রমণ।
টিকাদানে এগিয়ে থাকা এবং ওমিক্রনের তীব্রতা কম হওয়ায় করোনার আগের ঢেউগুলোর তুলনায় ইউরোপে হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার কম। যদিও বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যুর অর্ধেকই এই মহাদেশটিতে। এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রিসমাস ও নববর্ষের ছুটির সম্পূর্ণ প্রভাব পড়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
তবে কিছু এলাকায় ওমিক্রনের সংক্রমণ কমেছে। কয়েকটি দেশে ক্রমবর্ধমান ভাবে কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে ৭ দিনের গড় শনাক্ত ৩০ হাজার কমেছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, সংক্রমণ এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
ওমিক্রন ধরন প্রভাব বিস্তার করলেও এই সপ্তাহে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছে ডেনমার্ক। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, মহামারি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ওমিক্রন মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের চেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল স্কটল্যান্ড। সোমবার থেকে এসব বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করবে দেশটি।
এদিকে, ইতালি ও ফ্রান্সের চিত্র ভিন্ন। এখানে ওমিক্রমের ঢেউ প্রতীয়মান। ইতালির ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট বলছে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটও বলছে, জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ওমিক্রনের ঢেউ শীর্ষে উঠবে।
হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়তে থাকলে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে, ওমিক্রন ধরন প্রাথমিকভাবে তরুণদের মধ্যে দ্রুত বিস্তার করলেও বর্তমানে তা বয়স্কদের মধ্যে প্রবেশ করায় হাসপাতালে ভর্তির হার চরমে পৌঁছতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মহামারি বিশেষজ্ঞরা।