২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৫২
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:৫২

ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

পূর্ব ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৩ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত করেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা টেঙ্গগারা প্রদেশের ফ্লোরস দ্বীপের উত্তরে এই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিলো।

ইন্দোনেশিয়ার মেটেওরোলজি, ক্লাইমেটোলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্যাল এজেন্সি (বিএমকেজি) ভূমিকম্পের জেরে ‘সম্ভাব্য সুনামির’ সতর্কতা জারি করেছে।

প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, ‘ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে এক হাজার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা উপকূলগুলো বিপজ্জনক ঢেউয়ের শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

ভূমিকম্পের ফলে কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি বা মৃত্যুর তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পূর্ব নুসা টেঙ্গগারা প্রদেশের পূর্ব ফ্লোরস রিজেন্সির অন্তর্গত আদোনারা দ্বীপের এক বাসিন্দা নুরাইনি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি মাঠে ছিলাম। লোকজন আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করছিলো। আমি এখনো ভীত।’

ভূমিকম্পের জেরে পূর্ব নুসা টেঙ্গগারা, পশ্চিম নুসা টেঙ্গগারা, মালুকু, দক্ষিণ-পূর্ব সুলাউসি ও দক্ষিণ সুলাউসি প্রদেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভূমিকম্পপ্রবণ ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প এবং এর ফলে সৃষ্ট সুনামির শিকার হয়ে আসছে।

২০০৪ সালে ৯.১ মাত্রার এক ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুমাত্রা উপকূলে আঘাত হানা সুনামিতে দেশটিতে এক লাখ ৭০ হাজার ইন্দোনেশীয় প্রাণ হারান।

মানব ইতিহাসে এই সুনামি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে।

সূত্র : আলজাজিরা

Facebook
Twitter
LinkedIn