বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই আবারও চলে এসেছে আরও একটি আত্ম-শুদ্ধির মাস; মাহে রমজান মাস। পবিত্র এই মাসে বিশ্ব মুসলিমরা ধৈর্য, আত্ম-সংযম ও ইবাদতের মাধ্যমে নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটু বেশিই নিবেদন করে থাকে। এই মাসে সেহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত না খেয়ে রোজা পালন করা হয়। সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সময় ইফতার করা হয়।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ইফতারে এমন কিছু খাবার রাখা উচিত, যে খাবারগুলো শরীরের ক্ষতি করবে না। শরীরের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার রাখা উচিত সেহরি ও ইফতারে। করোনার এই সময় ইফতারের পর এমন খাবার খাওয়া যাবে না যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। এবার তাহলে ইফতারের পর যে পাঁচ (০৫) খাবার কখনোই খাওয়া উচিত নয় তা তুলে ধরা হলো-
ধূমপান বা অ্যালকোহল: ধূমপান বা অ্যালকোহল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়। তাই যাদের ধূমপান বা অ্যালকোহলের অভ্যাস রয়েছে তাদের করোনার এই সময় ইফতারের পর এসব থেকে বিরত থাকা উচিত হবে।
ফাস্টফুড: অধিকাংশ ফাস্টফুড তৈরির সময় চিনি বা চিনিজাতীয় জিনিস ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া ফাস্টফুডে ফাইবার জাতীয় খাবার খুবই কম থাকে। এসব খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়।
কফি: অনেক মানুষই রয়েছেন যারা কফি খেতে খুবই পছন্দ করেন। তারা হয়তো জানেন না যে, কফিতে থাকা ক্যাফিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই করোনার এই সময় কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা প্রয়োজন। অল্প পরিমাণে কফি খাওয়া যেতে পারে। তবে এটাকে অভ্যাসে পরিণত করা যাবে না।
প্যাকেটজাত মাংস: এ জাতীয় মাংস অনাক্রম্যতা ব্যবস্থা নষ্ট করার জন্য সক্ষম। মাংস ছাড়াও অন্যান্য প্যাকেটজাত খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে তুলে। করোনার এই সময় প্রয়োজনে সবুজ শাক-সবজি ও বিভিন্ন রকমের ফলমূল হতে পারে প্যাকেটজাত খাবারের বিকল্প।
ক্যান স্যুপ: আধুনিক এই সময়ে সিল করা স্যুপ বিক্রি করা হয়। সময়ের অভাবে অনেকে এসব খাবার খেয়ে থাকেন। এ জাতীয় খাবার শরীরকে পুষ্টিকর না করে বরং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল করে দেয়। রমজানে সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে এসব খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সময় পেটে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ক্যান স্যুপ বা এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।