২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৪:৪৩

ইভ্যালি গ্রাহকের মামলা যা বললেন তাহসান

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় অভিযোগ প্রমাণ হলে যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন তাহসান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া। শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

র আগে গত ৪ ডিসেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে তাহসানসহ ৯ বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণার মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ডিএমপির উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছেন, ইভ্যালির গ্রাহকের করা মামলায় তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া নজরদারিতে আছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস থেকে সাংবাদিকদের তাহসান বলেন, যখন ইভ্যালির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম, তার আগের বছর থেকে আমাকে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছিল। কিন্তু আমি রাজি হচ্ছিলাম না। তখন তারা বলল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমরা আছি। র্যা বের চলচ্চিত্র ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার সঙ্গে আছি। আমরা আইসিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, তাহলে কেন আপনি রাজি হচ্ছেন না?’ অনেক অনুরোধের পর ইভ্যালির সঙ্গে চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু, সেই চুক্তি অনুযায়ী কাজ করিনি। তার আগেই মে মাসে চুক্তি বাতিল (টার্মিনেট) করি। চুক্তি অনুযায়ী আমার বিজ্ঞাপন করার কথা ছিল। কিন্তু, আমি বিজ্ঞাপন করিনি। এর আগে দুটো লাইভ করে অনেক অভিযোগ পাচ্ছিলাম। তাই তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করি।

তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বের অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আছে। তাদের ওপর প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের দায়ভার আসে না, কারণ তারা শুধু প্রচারক। কোম্পানি যখন সমস্যা করবে তখন তারা সরে যাবে। প্রচারণার দায়িত্ব পালন করা কোনোভাবেই অপরাধ নয়। আর যে কোনো মুহূর্তে গ্রেফতার বা নজরদারি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে? যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের তো নজরে রাখতেই হয়। তাই বলে এমন শিরোনাম কাম্য নয়। আমি মানহানি মামলা করব এসব নিয়ে।

Facebook
Twitter
LinkedIn