সদ্যবিদায়ী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল না বলে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। খবর: ডন।
নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ফোরাম এনএসসি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস থেকে পাওয়া টেলিগ্রামের বিষয়ে আলোচনা করেছে এনএসসি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ তার পাঠানো টেলিগ্রামের প্রেক্ষাপট ও বিষয়বস্তু কমিটিকে অবহিত করেছেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এনএসসির এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল নাদিম রাজা, সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ আমজাদ খান নিয়াজি, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমাদ বাবরসহ জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এনএসসি রাষ্ট্রদূতের পাঠানো ‘তারবার্তার বিষয়বস্তু’ খতিয়ে দেখেছে। সর্বশেষ বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছে এনএসসি। এতে বলা হয়, প্রধান নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এনএসসি আবার অবহিত হয়েছে যে তারা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি। ইমরান খানকে সরাতে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়নি।
অনাস্থা ভোটে হেরে ৯ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ মাধ্যমে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে বলে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের পাঠানো তারবার্তাকে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই তারবার্তা নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করল এনএসসি।
এর আগে মার্চের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ঘটনায় একটি দেশকে কড়া কূটনৈতিক প্রতিবাদ পাঠানো হবে। তবে গত বৈঠকে এ হস্তক্ষেপকে ষড়যন্ত্র বলা থেকে বিরত ছিল এনএসসি। অবশ্য এ ধরনের হস্তক্ষেপ যেকোনো পরিস্থিতিতে অগ্রহণযোগ্য বলে এতে মত দেয়া হয়েছিল। তাই দ্বিতীয় বৈঠকে পিটিআইয়ের অবস্থানই শক্তিশালী হয়েছে বলে দাবি করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশি।