বাংলাদেশি পাসপোর্টে নিষিদ্ধকারী দেশের তালিকা থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। সরকার নতুন করে কী কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান আমাদের। বাংলাদেশ সরকার কেন নতুন করে প্রেম করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের সঙ্গে? কারণটা কী? আমি একটি যোগসূত্র দেই আপনাদের। কয়েকদিন আগে আল-জাজিরাতে একটি রিপোর্ট হয়েছিল না? সেই রিপোর্টে এসেছিল, একটি বিশেষ সারভিলেন্স ডিভাইস, যন্ত্র অরজিনালি ইসরায়েল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।’
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনীতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশি পাসপোর্টে দেশটি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা এতদিন ছিল- ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’।
কিন্তু সরকার নতুন যে পাসপোর্ট ইস্যু করছে তাতে লেখা থাকছে, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। অর্থাৎ, এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রে বৈধ। সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়টি ফের আলোচনা আসে।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে এখনও স্বীকৃতি না দেওয়ায় দেশটির প্রতি বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় ছয় মাস আগে অন্যান্য দেশের অনেক পাসপোর্ট দেখেছিল যখন বাংলাদেশের জন্য নতুন পাসপোর্ট অর্ডার করা হয়েছিল।
ড. মোমেন বলেন, ‘এটা সত্য যে, বিশ্বের কোনো পাসপোর্টে এ জাতীয় শব্দ নেই। বৈশ্বিক মান বজায় রাখতে এই পরিবর্তন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, পাসপোর্ট একটি জাতীয় পরিচয় এবং এটি বৈদেশিক নীতি প্রতিফলিত করে না।