কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানাকে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ঈদগাঁও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আজ সোমবার এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এর আগে সোমবার কক্সবাজারের ঈদগাঁও ছাড়াও মাদারীপুরের ডাসার এবং সুনামগঞ্জের মধ্যনগরকে উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।
প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৭ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সোমবার দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যরা যুক্ত হন সচিবালয় থেকে। এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা হচ্ছে ৪৯৫টি।
এদিকে কক্সবাজারের নতুন উপজেলা ঈদগাঁওয়ের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের শিকদারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া হিসেবে তার (হেলালুদ্দীন আহমদ) প্রচেষ্টায় ঈদগাঁও থানা উপজেলায় রূপান্তরিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ সোমবার জাগো কণ্ঠকে জানান, ঈদগাঁও উপজেলা হওয়ার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই উপজেলাকে স্বীকৃতি দিয়ে এলাকাবাসীর মনের চাওয়াকে পূর্ণ করেছেন। এজন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) কক্সবাজার সদর মডেল থানাকে বিভক্ত করে ঈদগাঁও থানা নামে নতুন থানা গঠন করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। ইসলামপুর, পোকখালী, ইসলামাবাদ, ঈদগাঁও এবং জালালাবাদ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছিল কক্সবাজার সদর উপজেলার অন্তর্গত ওই থানা। যা আজ সোমবার থেকে নতুন উপজেলায় রূপ নিলো।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জাগো কণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে জলোচ্ছাসসহ নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হতো ঈদগাঁও এলাকা। উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ওই এলাকার উন্নয়নে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এতে প্রশাসনিক অনেক পদ সৃষ্টি হবে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে নতুন এ উপজেলায় উন্নয়ন কাজ ছড়িয়ে পড়বে। সেখানে অচিরেই প্রশাসনিক কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, হেলালুদ্দীন আহমদ ২০১৯ সালের ৩০ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমাবয় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। তিনি গত বছরের ২৭ জানুয়ারি সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করেন। ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত ছিলেন ২০১৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটি হতে ওরিয়েন্টেশন ডিগ্রি অর্জন করেন।
হেলালুদ্দীন আহমদ (আইডি নং-৪৫৫৮) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কিশোরগঞ্জে তিনি চাকরি জীবন শুরু করেন।