ট্রেনের ভাড়ায় পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এবার দূরত্ব হিসেবে ট্রেনের ভাড়া বাড়াতে চলেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি, যা আগামী ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হবে। সেই সঙ্গে বিশেষ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ট্রেনের কোনো কামরা ভাড়া নিতে চাইলে শ্রেণিভেদে বাড়তি ভাড়া দিতে হবে। এটাকে রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ বলা হচ্ছে।
রোববার (১৭ মার্চ) রেলওয়ে সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে রেল ভ্রমণে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়ার ওপর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ কিলোমিটারে ৩০ শতাংশ যে রেয়াতি সুবিধা ছিল তা আর থাকছে না। এবার দূরত্ব হিসেবে উল্টোটা হবে। এতে করে দূরের গন্তব্যের ট্রেনের ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়বে ১০ শতাংশ। তবে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া অপরিবর্তনশীল থাকবে।
নতুন ভাড়া ব্যবস্থায় ০-১০০ কিলোমিটারের জন্য ০ শতাংশ হারে, ১০১-২৫০ কিলোমিটারে ২০ শতাংশ হারে, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ হারে এবং ৪০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়বে। এ ছাড়া অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হবে।
রেয়াত বা ছাড় প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের জন্য গত মাসে পাঠানো হলে এতে ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মেলে। এরপর রেলপথ মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করতে রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। আগামী ১ এপ্রিল তা থেকে ছাড় প্রত্যাহারের বিষয়টি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
রেলের দাবি, রেয়াতি সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। শুধু একটা সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘এটাকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে বানানো হচ্ছে এমনটা বলা ঠিক হবে না। এত দিন কিলোমিটারের ওপর যে ছাড় দেওয়া হতো সেই সুবিধাটা বাতিল করা হচ্ছে। এতে করে নতুন ভাড়া সমন্বয় করা হবে। আমরা চাচ্ছি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে।’