অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া সাম্প্রতিক চুক্তির কারণে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে ফ্রান্স। প্রতিক্রিয়ায় দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিজের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে।
এ চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মাল্টিবিলিয়ন ডলারের সাবমেরিনসংক্রান্ত একটি চুক্তি বাতিল হয়ে যায় ফ্রান্সের। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্রান্সের কূটনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়। আর এ কূটনৈতিক উত্তেজনা নিরসনে আগামী মাসে বৈঠকে বসার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
বুধবার ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে আলাপ করেন। এ সময় তারা ইউরোপে অক্টোবরের শেষের দিকে বৈঠকে বসতে সম্মত হন বলে জানানো হয় এক যৌথ বিবৃতিতে। খবর আলজাজিরার।
বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত। যাকে সম্প্রতি তিন দেশের (অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) মধ্যে হওয়া চুক্তির জেরে দেশে তলব করা হয়েছিল।
এতে আরও বলা হয়, এ দুই নেতা গভীরভাবে পরামর্শের জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এএফপি জানায়, উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইভেস লে ড্রায়ান বুধবার বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।
১৫ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা এক ভার্চুয়াল সভায় নতুন একটি জোট গঠনের ঘোষণা দেন।
ভার্চুয়াল সভায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ নতুন জোটকে তাদের সম্পর্ক জোরদারে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু চালিত সাবমেরিন নির্মাণের প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করবে।