জীবননগর উপজেলার উথলীতে মোবাইলে পর্ন ভিডিও দেখিয়ে মাঠে ঘাস কাটতে ও খড়ি কুড়াতে যাওয়া দুই মেয়েশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উথলী বাজার গোরস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জানাজানি হলে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম নাজমুল ইসলাম ওরফে টংকার (২৮)। তিনি উথলী বাজার পাড়ার ওদুর ছেলে এবং পেশায় একজন ইলেকট্রনিক সামগ্রী মেরামতকারী মিস্ত্রী। উথলী বাজারে তার দোকান রয়েছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী শিশুরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উথলী বাজার ফুটবল মাঠপাড়ার শিশুরা গোরস্থান মাঠে খড়ি কুড়াতে ও ঘাস কাটতে যায়। এ সময় মাঠে ছাগল দেখতে যায় একই এলাকার নাজমুল ইসলাম ওরফে টংকার। তিনি ওই শিশুদের মোবাইলে পর্ন ভিডিও দেখান এবং ধর্ষণ করার চেষ্টা চালান। তার হাত থেকে রক্ষা পেতে এক শিশু ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে এবং জামা খুলে রেখে বাড়িতে চলে আসে। এ সুযোগে অন্য শিশুরাও পালিয়ে যায়। ওই শিশুদের প্রত্যেকের বয়স ১০ বছরের নিচে। ঘটনা জানাজানি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা টংকারকে আটকে রাখে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, ‘টংকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এর আগেও বেশ কয়েকবার উঠেছে। তিনি আমার বাচ্চা মেয়ের সাথে যে ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সঠিক বিচারের অভাবে প্রতিবারই তিনি ছাড় পেয়ে যান এবং একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটান।’
এ বিষয়ে উথলী এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক জানান, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এর আগেও পাওয়া গিয়েছে। তখন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়। তবে এবারের ঘটনাটি খুব স্পর্শকাতর। ঘটনাটি শোনামাত্রই আমি ভুক্তভোগী শিশুর বাড়িতে উপস্থিত হই এবং এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জহুরুল হক ঝণ্টুকে বিষয়টি জানাই। পরে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত টংকারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।’
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জীবননগর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।