বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, বেগম খালেদা জিয়া, ডক্টর ইউনূসসহ পদ্মাসেতুর বিরোধিতাকারীদের সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
উদ্বোধন সামনে রেখে রোববার সেতুর মাওয়া প্রান্তে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, সেতুর উদ্বোধন ঘিরে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২৫ জুন উদ্বোধন হচ্ছে পদ্মা সেতু। এরমধ্য দিয়ে পূরণ হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, কোনো দুর্নীতি না হলেও সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। এরপরও পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কারণে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা উদ্বেগজনক মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে এগুলো হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কাদের বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যতই সমালোচনা হয়েছে, ততই মনোবল দৃঢ় হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়া ভুল হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন যে আমরাও পারি, উই ক্যান। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার অসীম সাহসের সোনালী ফসল। সেতু নির্মাণের সব কৃতিত্ব শুধু তার।
সেতুর জন্য যারা নদীর দুই পাড়ে ভিটা ছেড়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা ত্যাগ স্বীকার না করলে পদ্মা সেতু হত না।
সেতুমন্ত্রী জানান, ২৫ জুন উদ্বোধন ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ে থাকবে বর্ণাঢ্য আয়োজন। উদ্বোধনের পরদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হবে সেতুতে যান চলাচল।