২৭শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৭শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:৫৬

উরুগুয়েকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে পর্তুগাল

বিশ্বকাপের আগেই রোনালদো ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটি তার শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। তার শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে আরও একবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল। ব্রুনো ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে লাতিন পরাশক্তি উরুগুয়েকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করলো ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।

২০১৮ বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে খেলতে নামে উরুগুয়ে। ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বল দখলের লড়াইয়ে একদমই পিছিয়ে ছিল তারা। ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পায় পর্তুগাল ৪ মিনিটে। ডি-বক্সের ভেতর রোনালদোর পাস থেকে ভলি করতে গিয়ে বল গোলবারের অনেক উপর দিয়ে মারেন কার্ভালহো।

৬৯% বল নিজেদের দখলে নিয়েও ম্যাচের পুরো প্রথমার্ধে একটি শটও গোলমুখে নিতে পারেনি পর্তুগাল। অন্যদিকে শক্তিশালী রক্ষণভাগ বেশ পর্তুগিজ আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের বেশ ভুগিয়েছে। ৩২ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত এবং গোলের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন বেনতানচুর। মাঝমাঠ থেকেই বল টেনে নিয়ে ডিবক্সের ভেতর ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি। এমন সুযোগ নষ্ট করে মাঠেই নিজের উপর রাগ ঝাড়েন এই টটেনহ্যাম মিডফিল্ডার। প্রথম ৪৫ মিনিটে আর তেমন গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউই। ফলে গোলশূন্য ড্র অবস্থাতেই শেষ হয় খেলা।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বাড়ায় দুই দল৷ ৫৫ মিনিটেই গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। বাম পাশ ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রসে রোনালদো মাথা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন, ফলে বল সোজা খুঁজে পায় জালের ঠিকানা। প্রথমে এটিকে রোনালদোর গোল বলা হলেও পরে অধিকতর পরীক্ষার পর গোলটি ব্রুনো ফার্নান্দেজের নামে দেওয়া হয়। বিশ্বকাপে ২ অ্যাসিস্টের পাশাপাশি একটি গোলও করলেন তিনি।

গোল খেয়েই যেন নিজেদের খুঁজে পেতে চেষ্টা করে উরুগুয়ে৷ ৫৯ মিনিটে ভারেলার বাড়ানো ক্রসে কাভানি ভলি করলেও তা ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। ৭৬ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় উরুগুয়ে। তবে এবার তাদের জন্য বাধা হয়ে আসে গোলবার। ম্যাক্সি গোমেজের বুলেট গতির শট গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়।

পর্তুগাল যখন ১-০ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনকি তাদেরকে পেনাল্টি উপহার দেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার হিমেনেজ৷ ডি বক্সের ভেতর তার হাতে বল লাগলে রেফারি ভিএআর এর সহায়তায় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে পর্তুগালকে দ্বিতীয় রাউন্ডে তুললেন এই ম্যান ইউ তারকা। বিশ্বকাপে ২ গোলের পাশপাশি তার ঝুলিতে রয়েছে ২ এসিস্টও। অন্যদিকে উরুগুয়ের জন্য পথটা বেশ কঠিনই হলো বলা চলে৷ কেননা, ঘানার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তাদেরকে জয়ের পাশাপাশি গোল ব্যবধানও বাড়াতে হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn