২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:৪৮
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:৪৮

এই ঋণ তো শোধ করা যাবে না’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর মধ্যকার সুসম্পর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।  চয়নিকাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন পরীমনি। নায়িকা পরীমনির বিপদে পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে এই নির্মাতাকে। এবার চয়নিকার বিপদে তার পাশে দাঁড়ালেন পরীমনি। জানালেন, চয়নিকার কাছে তিনি ঋণী। আর সেই ঋণ শোধ করা যাবে না।

জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর থেকে চয়নিকার ‘কাগজের বৌ’ শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার কথা ছিল মাহিয়া মাহির। কিন্তু  হঠাৎ করে ১৫ ডিসেম্বর রাতে ফেসবুকে শারীরিক অসুস্থতার খবর দিয়ে স্ট্যাটাস লিখে মাহিয়া মাহি জানিয়ে দেন ফিল্মটিতে তার কাজ করা হচ্ছে না।

হুট করে নায়িকার সরে যাওয়ায় বিপদে পড়ে যান ওয়েব ফিল্মটির পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। এমন সময় হঠাৎ করেই পাশে এসে দাঁড়ান পরীমনি। মাহির জায়গায় কাজ করতে এগিয়ে এলেন তিনি। শুটিংয়ের নির্ধারিত দিন ১৭ ডিসেম্বর থেকেই ফিল্মের ‘তিথলী’ চরিত্রটি করছেন পরীমনি।

এ ব্যাপারে চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘পরী অসুস্থ ছিল। ১৬ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছিল। আমাকে ফোন দিয়ে বলল, মা, আমি বাসায় যাচ্ছি। কথার মধ্যে আমার মন খারাপের ব্যাপারটা বুঝতে পেরে পরী জিজ্ঞাসা করল, ‘কী হয়েছে তোমার?’ পুরো ঘটনাটা তাকে বললাম। আচমকা আমাকে বলে বসল, ‘টেনশন কোরো না। তোমার কাছে আমি অনেক ঋণী। এই ঋণ তো শোধ করা যাবে না। তোমাকে এই সহযোগিতাটুকু করি অন্তত।’

চয়নিকা বলেন, ‘পরীর কথা শুনে চোখ ভিজে গেল আমার। এই বিপদে পরী যেভাবে পাশে এসে দাঁড়াল, সত্যি আমি ভাগ্যবান। তা না হলে আমি এত বড় একটি ইউনিট নিয়ে বিপদেই পড়ে যেতাম।’

এ ব্যাপারে পরীমনি বলেন, ‘মা যেভাবে বলছেন, তিনি যদি এভাবে বলেই থাকেন, তাহলে কাজটি করে আমি খুশি। তার কোনো বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারলে আমি লাকি। কিন্তু তিনি যেভাবে আমার পাশে দাঁড়ান, এতটুকু কাজ করে তার ঋণ শোধ করা কি সম্ভব? আমার প্রতি তার যে ভালোবাসা, সে তুলনায় আমার এই কাজটুকু একেবারেই হালকা।’

চয়নিকার নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’তে দেখা গেছে পরীমরিকে। সেখানে পরীর নায়ক ছিলেন সিয়াম। সিনেমাটি গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পায়।

Facebook
Twitter
LinkedIn