২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৯:০০
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৯:০০

এই ‘চার রাস্তার মোড়’ যাত্রী-পারাপারে আছে মৃত্যু শঙ্কায়ঃ

দুই লেনের রাস্তায়ই মৃত্যু ঝুঁকি থেকে নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা নেই। সেখানে দুই লেনের দুই পাশ দিয়ে যদি এসে যুক্ত হয় ভেতর থেকে আরও দুটি প্রধান সড়কের শাখা। তাহলে রাস্তা পারাপারে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কোথায় ? এমনই একটি ভয়ঙ্কর মোড় চোখে পড়বে ঢাকার অভ্যন্তরেই। যেই মোড়কে সবাই স্থানীয়ভাবে মোস্তম হাজি ( মোস্তম মাঝি ) নামে চেনে। এই রাস্তার সাথে মিশেছে বাসাবো মাদারটেক শেখেরটেক, এর বিপরীত পাশে আমিন মোহাম্মদ হাউসিং সোসাইটি। যার ডান পাশের রাস্তাটি গিয়েছে ঠুলঠুলিয়া থেকে ইটাখোলা ও ডেমরা। আর মোস্তমমাঝির প্রধান সড়কটি বিশ্বরোডের সাথে যার সংযোগ। এক প্রান্তে আমুলিয়া স্টাফ কোয়ার্টার হয়ে এক শাখা কাচপুর, আরেকটা সিলেট মহাসড়ক। আর এই চার গোলক ধাঁধায় জড়ামো আমিন মোহাম্মদের সামনের সড়কটি থেকে সোজা চলে গেছে মেরাদিয়ার ওপর দিয়ে, সোজা রামপুরা। এই চার মুখের ঠিক মাঝটুকু ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার জন্য খুবই বিপদজনক। এর চারপাশে মানুষ যে কোন দিক দিয়ে রাস্তার এপার ওপার যেতেই-একরকম জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়েই রাস্তা ক্রস করছে। শুক্রবার ও শনিবার, ছুটির দিন গুলোতে শহরের আশে পাশের অনেকেই  পরিবার, প্রিয়জন নিয়ে এই এলাকায় ঘুরতে চলে আসেন। আর এই মোড়টি ঢাকার যানজট নিরসনের সংক্ষিপ্ত সময়ে যাতায়াতের এখন সবার কাছে অন্যতম একটি সড়কও। আর কেনাকাটা, পেশাগত কাজেও স্থানীয়দের জন্য এই মোড় ও রাস্তা পারাপারও একটি রোজকার রুটিন হয়ে গেছে।

চায়ের দোকানী জনৈক মুরুব্বী জানালেন, ‘এই তো বেশ কয় মাস আগে একজন শিক্ষক দুই বাসের মাঝখানে চাপা খেয়ে মৃত্যুবরণ করেন।’ এছাড়া এখানে তরুণদের দ্রুত গতিতে আসা মোটরবাইকেরও অনেক দুর্ঘটনার খবরও আছে। বিশেষ করে বিশ্বরোডটি দ্রুত গতিতে আসা– ট্রাক, পিকাপ, পণ্যবাহিত বড় কাভার্ড ভ্যান, বিপদজন তেলের গাড়ি, বাস, লোকাল বাহনগুলোর চলাচল। যাদের ড্রাইভিং হলিউড ‍মুভির বেগকেও হারিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় থাকে সবসময়। আর গলির ভেতর থেকে আশা রাস্তাগুলোর প্রধান বাহন ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও থ্রি হুইলার অটোগাড়ি। এগুলোর স্ট্যান্ডও শেকেরটেকের শেষ মাথায় ও ঠুলঠুলিয়ার প্রবেশ মুখে।হঠাৎ এসব গাড়ি থেকে নেমেই পথচারিকে রাস্তা ক্রসিংয়ের জন্য অহেতুক তাড়াহুড়া করতে হয়। আর এই তাড়াহুড়ায় খুব ঝুঁকির সাথে এই মহাসড়ক পাড় হওয়া লাগে। অনেকের মতে, এই অটোগাড়ির স্ট্যান্ডগুলো ভেতরের রাস্তার আর একটু ভেতরে নেয়াটা হবে মঙ্গলজনক। আর আমিন মোহাম্মদের সামনের অযাচিত ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা দোকানপাট, খাবারের দোকানের সামনে অনেক সময় যুবমাজের সারিসারি বাইকও যাত্রী পারাপারে বাধাগ্রস্ত করে থাকে। পথচারীরা মনে করেন, মোস্তম মাঝি এই মোড়ে একটি ফুটওভার ব্রিজ অত্যন্ত জরুরি। দরকার ট্রাফিক সিগনালবাতি ও পুলিশবক্স। বিষয়টি নাগরিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তাজনিত বিষয়ও বটে। সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মৃতু্যবরণ ঠেকাতে যা অন্যান্য ব্যস্ত মহাসড়কের জন্যও অনুকরণীয়।

মারুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি

Facebook
Twitter
LinkedIn