পদ্মা সেতুকে শুধু একটা সেতুর সঙ্গে তুলনা না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি শুধু ইট-কংক্রিটের সেতু নয়; এই সেতু বাংলাদেশের গর্ব, এই সেতু বাংলাদেশের অহংকার। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ গর্বিত। আমিও গর্বিত।’
দেশের সড়ক যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে আজ। উদ্বোধন হচ্ছে গৌরবের পদ্মা সেতু, যা দেশীয় অর্থায়নে বড় অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশের সক্ষমতাও প্রকাশ করছে।
পদ্মা সেতু চালু হলে ফেরি পারাপারের ভোগান্তি থাকবে না দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের জেলা সিলেটের জাফলং থেকে খুলনায় যাতায়াতের ক্ষেত্রেও। এই পথের দূরত্ব প্রায় ৫৬৫ কিলোমিটার। ২০০৩ সালে ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু চালুর পর সিলেট থেকে ঢাকায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
সেতুটি উদ্বোধন করতে শনিবার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। হেলিকপ্টারযোগে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মাওয়া পয়েন্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।