২১ দিন করোনার সঙ্গে লড়ে অবশেষে হেরে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজী। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মেয়ে সুমী সিকান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমী সিকান্দার জানান, একটি বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তার মস্তিক কাজ করছিল না। মাল্টি অর্গান প্রবলেম। ফলে, ওষুধও কোনো কাজে আসছে না। একই অবস্থাতে মারা যান।
কবি কাজী রোজী দাফনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়ে সুমী বলেন, পরিবারের সদস্য ঢাকার বাইরে থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, মিরপুরের দাফন এবং জানাজা হওয়ার সম্ভবা বেশি।
কাজী রোজী ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
গত শতাব্দির ষাটের দশকে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন কাজী রোজী। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো— ‘লড়াই’, ‘পথঘাট মানুষের নাম’, ‘আমার পিরানের কোনো মাপ নেই’ প্রভৃতি। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।
কবিতা চর্চা ছাড়াও তিনি সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন, ২০০৭ সালে তথ্য অধিদফরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন। পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার জন্য নির্ধারিত সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।