এখন থেকে আর ৪-৫ ঘণ্টা নয়, সড়কপথে মাত্র এক ঘণ্টায় ঢাকা থেকে যাওয়া যাবে ফরিদপুরের ভাঙা। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও, পদ্মা সেতুতে মিলবে এই সুবিধা। দেশের প্রথম যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেস দিয়ে বাধাহীনভাবে চলাচল করতে পারবে খুলনা, বরিশালের ২১ জেলার যাত্রী।
আকাশ থেকে দেখা মহাসড়কের চাররাস্তা। দৃষ্টিনন্দন নকশায় ছড়িয়ে আছে প্রশস্ত সড়ক। যেন সিনেমার দৃশ্য। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এটি দেশেরই এক মহাসড়ক যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে।
২০২০ সালের মার্চে উদ্বোধনের পর থেকে দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলছে যানবাহন।
তবে এতদিন বাধা ছিল উত্তাল এক নদী। বহু বছরের দুর্ভোগের পর খুলেছে পদ্মা সেতু, গুরুত্ব হারাচ্ছে নৌরুট। দক্ষিণের মানুষ ঢাকায় ঢুকবে মাত্র এক ঘণ্টায়।
ছয় লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করছে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন-এসডব্লিউও। মূল সড়ক চার লেনের, এর দুই পাশে থাকছে সাড়ে ৫ মিটার করে দুটি সার্ভিস লেন। পদ্মা সেতু হয়ে এ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় সম্ভবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরাও।
যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুলাইয়ে। তিন বছর ৮ মাসে কাজ শেষ করে, সড়কটি খুলে দেয়া হয় ২০২০-এর মার্চে।