সয়াবিন তেলের পর এবার চিনির দাম বাড়াতে চান রিফাইনারি মালিকরা। ডলারের বাড়তি দামে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কথা বলে সরকারের কাছে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম রহমান বুধবার (১০ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে কেজিতে কত টাকা বাড়াতে চান তারা সেটা উল্লেখ করা হয়নি প্রস্তাবে।
সরকার দাম বাড়াতে সম্মতি না দিলে আমদানি শুল্ক মওকুফ করার দাবি জানিয়েছে রিফাইনারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে চিনি আমদানির মূল্য পরিশোধে ডলারের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে বিপুল লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৩ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে থাকলেও এখন মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রতি ডলারে ১১৫ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
এছাড়া আগে প্রতি টন চিনির আমদানি শুল্ক ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকার মধ্যে থাকলেও বর্তমানে ২৮ থেকে ২৯ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। পরিশোধনের পর মিল গেটে প্রতি টন চিনির দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। কিন্তু মিলগেটে বিক্রি হচ্ছে ৭৮ হাজার ৩০০ থেকে ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকায়।