২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ / ১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৫১

এমবাপে-জিরুদের গোলে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

অলিভার জিরুদের রেকর্ড গড়ার দিনে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে ফ্রান্স। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধে জিরুদ ও দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপের দুই গোলে ভর করে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে এবারের বিশ্বকাপের শেষ আট নিশ্চিত করল দিদিয়ে দেশমের দল।

দোহারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে রাত ৯টায় মাঠে নামে এই দুই দল। সবশেষ ২৬ বছর আগে ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়াইয়ে নেমেছিল পোলিশরা। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। গ্রিজমানের কর্নারে ম্যানইউ ডিফেন্ডার ভারানের হেড লক্ষ্যে থাকেনি। এরপর ত্রয়োদশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল নিচু শটে চেষ্টা করেন চুয়ামেনি, তবে সেই যাত্রায় ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি। এর ঠিক চার মিনিট পর উসমান দেম্বেলের শট সহজেই আটকে দেন তিনি।

এরপর খেলার ৩৮তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পোল্যান্ড। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে জেলিনস্কির শট পা দিয়ে ফেরান লরিস। ফিরতি বলে জেলিনস্কির আরেকটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন উপেমেকানো। এরপর কামিনিস্কির শট গোললাইন থেকে বিপদমুক্ত করেন ভারানে। তবে ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে জিরুদের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এমবাপের পাস থেকে পাওয়া বল বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই এসি মিলান স্ট্রাইকার। এরপর আর কোনো দল গোল করতে না পারায় ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের দ্বার বাড়ায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে গোলের খাতায় নাম লেখান এমবাপে। দেম্বেলের থেকে পাওয়া বল ফাঁকা জায়গায় পেয়ে দুর্দান্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে পোলিশদের বিদায়ের শেষ ঘণ্টা বাজান এই পিএসজি তারকা। মার্কাস থুরামের বাড়ানো বল বারের কর্ণার দিয়ে জালে পাঠিয়ে দলকে আনন্দে ভাসান তিনি।

বিদায় নিশ্চিত জেনেও আক্রমণের গতি শেষদিকে বাড়িয়ে দেয় পোল্যান্ড। আর এতেই বক্সের ভেতর উপামেকানোর হ্যান্ডবলে পেনাল্টি উপহার পায় তারা। স্পটকিক থেকে নেওয়া লেভানডভস্কির প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন লরিস। তবে লাইনের থেকে এগিয়ে এসেছিলেন ফ্রান্স অধিনায়ক। যার কারণে ফিরতি শটের সুযোগ পান লেভানডভস্কি। এবার আর সুযোগ নষ্ট করেননি এই বার্সা তারকা। দারুণ শটে গোল করে দলকে শেষমুহুর্তে সান্ত্বনা এনে দেন তিনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn