বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবার প্রেক্ষাপটে ২০২১ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ভিন্ন পদ্ধতিতে নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় এবং পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশক্রমে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং-এর মাধ্যমে আবশ্যিক বিষয় এবং চতুর্থ বিষয়ের নম্বর দেয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে, এ পদ্ধতিতে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। এর আগে গত ১৫ই জুলাই শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেছিলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে চলতি বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার যে পদ্ধতি ঘোষণা করেছে সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি তখন বলেছিলেন, এই পরীক্ষা হবে গ্রুপভিত্তিক শুধুমাত্র তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে।
অর্থাৎ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক তিনটি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা যার যার গ্রুপের বিশেষায়িত তিনটি করে সাবজেক্টের ওপর সীমিত পরিসরে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পরীক্ষা দেবেন। পরীক্ষার সময় ও নম্বরও কমিয়ে আনা হবে।
সেক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, আইসিটি, ধর্মের মতো আবশ্যিক বিষয় বা চতুর্থ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হবে না বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি এবং এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার রেওয়াজ রয়েছে।
কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২১ সালে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কি না সেটি নিয়ে নানা আলোচনা ছিল সরকারের মধ্যে।
সূত্র : বিবিসি