করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে হজ ও ওমরাহ পালন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছিল সৌদি সরকার। ২০২০ সালে ৬ মাসেরও বেশি সময় স্থগিতাদেশ জারির পর অক্টোবরে দেশীয় নাগরিকদের ওমরাহ পালনের অনুমতি দেয়া হয়। তবে শর্ত দেয়া হয়, ওমরাহ ও হজ পালনের সময় যাত্রীদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
সম্প্রতি অন্যান্য দেশের মুসল্লিদেরও ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছর ১ মহররম বা ১০ আগস্ট থেকে বাইরের দেশসমূহের মুসল্লিরা ওমরাহ পালনে প্রবেশ করতে পারবেন সৌদিতে।
তবে করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্ববয়সী মুসল্লিদেরই কেবল প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রোববার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা স্টেট নিউজ এজেন্সি (এসপিএ)।
মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘চলতি বছর ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই টিকার সনদপত্রের অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।’
তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যেসব দেশের যাত্রীদের সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির সরকার, সেসব দেশের ওমরাহ পালন ইচ্ছুক মুসল্লিদেরও সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
তবে সেই দেশসমূহের নাগরিকদের সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর সরকার অনুমোদিত কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রগুলোতে ১৪ দিন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।
এবার ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও লেবানন ছাড়া বিশ্বের সব দেশের মুসল্লিরা ওমরাহ করতে সরাসরি ফ্লাইটে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এই ৯টি দেশের মুসল্লিরা ওমরাহ করতে চাইলে ওই ৯টি দেশ বাদে অন্য আরেকটি দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন।
এ ছাড়া ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনা ভাইরাসের সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিতে হবে। সেই টিকা হতে হবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের। এসব টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে না।